শিক্ষা নিউজ

Responsive Ads Here

বুধবার, ২ মে, ২০১৮

একাদশে ভর্তি কোটায় সংস্কার, আবেদন শুরু ১৩ মে

এ বছর একাদশ শ্রেণিতে শতভাগ আসন মেধার ভিত্তিতে ভর্তি করা হবে।তবে মেধার ভিত্তিতে ভর্তির পর যদি কোনো বিশেষ অগ্রাধিকার কোটার আবেদনকারী থাকে, তাহলে মোট আসনের অতিরিক্ত হিসাবে নির্ধারিত কোটায় ভর্তি করা যাবে।২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির নীতিমালায় এ বিষয়টি চূড়ান্ত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সোমবার (৩০ এপ্রিল) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ নীতিমালা চূড়ান্ত করা হয়।
সভায় জানানো হয়, একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য অনলাইন ও এসএমএসে আবেদন গ্রহণ শুরু হবে আগামী ১৩ মে থেকে। আবেদনের শেষ সময় ২৪ মে। তবে ফল পুনর্নিরীক্ষণের যাদের ফল পরিবর্তন হবে, তাদের আবেদন আগামী ৫ ও ৬ জুন গ্রহণ করা হবে। প্রথম পর্যায়ে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ করা হবে ১০ জুন। এরপর আরও একাধিক ধাপে ফল প্রকাশ ও মাইগ্রেশনসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাজ শেষ করে ২৭ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত ভর্তি কার্যক্রম চলবে। আগামী ১ জুলাই থেকে ক্লাস শুরু হবে।
নির্ধারিত কোটা অনুযায়ী ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বা নাতি-নাতনীদের জন্য, ৩ শতাংশ বিভাগীয় ও জেলা সদরের বাইরের শিক্ষার্থীদের জন্য, ২ শতাংশ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধস্তন দপ্তরগুলো ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, কর্মকর্তা কর্মচারী এবং নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জন্য, শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ বিকেএসপির জন্য এবং শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ প্রবাসীদের সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। অর্থাৎ এবার মোট ১১ শতাংশ নির্ধারিত কোটা রয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কোটায় যদি প্রার্থী না পাওয়া যায়, তবে এ আসনগুলোর কার্যকারিতা থাকবে না। গতবার ৮৯ শতাংশ সবার জন্য উন্মুক্ত রেখে বাকি ১১ শতাংশ নির্ধারিত কোটার প্রার্থীদের জন্য সংরক্ষিত ছিল। এর ছাড়া গতবার কোটায় প্রার্থী না পাওয়া গেলে সে আসনগুলো সাধারণ কোটার প্রার্থীদের দিয়ে পূরণ করা হতো।
নীতিমালা অনুযায়ী, এবারও একজন শিক্ষার্থী কমপক্ষে ৫টি এবং সর্বোচ্চ ১০টি কলেজে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। অনলাইন এবং এসএমএস উভয় পদ্ধতিতেই আবেদন করা যাবে।
একজন শিক্ষার্থী যতগুলো কলেজে আবেদন করবে, তার মধ্য থেকে শিক্ষার্থীর মেধা ও পছন্দক্রমের ভিত্তিতে একটি কলেজ নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। তবে ভর্তিতে আগের মতো এবারও স্কুল, কলেজ ও সমমানের প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ভর্তিতে অগ্রাধিকার পাবে।
উল্লেখ্য, এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে আগামী ৬ মে।

রবিবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৬

সমাপনী পরীক্ষার রেজাল্ট ২০১৬

সমাপনী পরীক্ষার রেজাল্ট ২০১৬. এই বছরের সমাপনী পরীক্ষার ফলাফল ২০১৬ আগামী ২৯ ডিসেম্বর প্রকাশিত হবে। PSC Result 2016 and Ebtedai Result 2016 going to publish on 29 December 2016. All PSC Result in BD are find at http://allresultsbd.com/psc-exam-result-published-primary-education-result.



রেজাল্ট দেখবেন যেভাবে:- PSC Result 2016 - Click Here

জে.এস.সি / জে. ডি.সি পরীক্ষার রেজাল্ট ২০১৬

জে.এস.সি / জে. ডি.সি পরীক্ষার রেজাল্ট ২০১৬. এই বছরের জেএসসি / জেডিসি পরীক্ষার ফলাফল ২০১৬ আগামী ২৯ JSC Result in BD are find at http://allresultsbd.com/jsc-exam-result-education-board-result-bangladesh/



রেজাল্ট দেখবেন যেভাবে:- JSC Result 2016 - Click Here

মঙ্গলবার, ১১ আগস্ট, ২০১৫

ডাচ্-বাংলা ব্যাংক এর এইচএসসি শিক্ষাবৃত্তি ২০১৫ এর বিস্তারিত তথ্য

ডাচ্-বাংলা ব্যাংক তার শিক্ষা বৃত্তির কর্মসূচীর আওতায় দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উচ্চ মাধ্যমিক, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে অধ্যয়নরত মেধাবী ও আর্থিকভাবে অসচ্ছল ছাত্র-ছাত্রীদেরকে বৃত্তি প্রদান করে আসছে। সেই ধারাবাহিকতায় ১২তম পর্যায়ে ২০১৫ সালের এইচএসসি/ সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ মেধাবি ও শিক্ষাক্ষেত্রে আর্থিক সহায়তা প্রত্যাশী শিক্ষার্থীদেরকে বৃত্তি প্রদান করবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক এই বৃত্তি সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য…

বৃত্তির পরিমাণ ও সময়কালঃ

শিক্ষার স্তরঃ স্নাতক
সময়কালঃ ৩-৫ বছর (নবায়নযোগ্য)
মাসিক বৃত্তিঃ ২,৫০০ টাকা
বার্ষিক অনুদানঃ পাঠ্য উপকরণের জন্য এককালীন ৫০০০ টাকা ও পোশাক পরিচ্ছদের জন্য ১,০০০ টাকা

বৃত্তির জন্য আবেদনের যোগ্যতাঃ

  • সিটি কর্পোরেশন এলাকার অন্তর্গত কলেজ/শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্যঃ ন্যূনতম জিপিএ ৪.৮ (চতুর্থ বিষয় ব্যতিত, সকল গ্রুপের জন্য)
  • সিটি কর্পোরেশন এলাকার বাইরের/ গ্রামাঞ্চলের কলেজ/শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্যঃ ন্যূনতম জিপিএ ৪.৫ (চতুর্থ বিষয় ব্যতিত, সকল গ্রুপের জন্য)

বৃত্তির অন্যান্য নীতিমালাঃ

  • ২০১৫ সালের এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় উপরোক্ত সিজিপিএ প্রাপ্ত ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে যে সব ছাত্র-ছাত্রী এসএসসি/সমমান পরীক্ষায় ন্যূনতম সিজিপিএ ৪.৫ (চতুর্থ বিষয় ব্যতিত, সকল গ্রুপের জন্য) প্রাপ্ত হয়েছেন শুধুমাত্র তারাই আবেদনের যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।
  • যে সকল ছাত্র-ছাত্রী সরকারী বৃত্তি  ব্যতিত অন্য কোন উৎস থেকে বৃত্তি পাচ্ছেন, তাঁরা ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের বৃত্তির জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন না।
  • গ্রামীণ অনগ্রসর অঞ্চলে অবস্থিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে উত্তীর্ণ ছাত্র-ছাত্রীদের জন্যে বৃত্তির শতকরা ৯০ ভাগ নির্ধারিত থাকবে এবং মোট বৃত্তির শতকরা ৫০ ভাগ ছাত্রীদের প্রদান করা হবে।

আবেদনের নিয়ম ও শর্তাবলীঃ

ডাচ্-বাংলা ব্যাংক এর শিক্ষা বৃত্তি এর আবেদন এর প্রক্রিয়াতে এবার পরিবর্তন আনা হয়েছে। এবার আবেদন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ অনলাইনে করা হয়েছে। ফলে এখন সরাসরি কোন আবেদন গ্রহনযোগ্য হবে না। চলুন জেনে নেওয়া যাক অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়াঃ
www.dutchbanglabank.com/DBBLScholarship এই ঠিকানায় গিয়ে অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। আবেদন ফরম এর সাথে যা যা সংযুক্ত করতে হবে সেগুলো হলোঃ
  • আবেদনকারীর পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবির স্ক্যান কপি।
  • আবেদনকারীর পিতা মাতার পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবির স্ক্যান কপি।
  • এসএসসি/সমমান পরীক্ষার নম্বরপত্রের স্ক্যান কপি।
  • এইচএসসি/সমমান পরীক্ষার নম্বরপত্র ও প্রশংসাপত্রের স্ক্যান কপি।

বৃত্তি সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তারিখঃ

আবেদন শুরুর তারিখঃ ১১ আগস্ট ২০১৫
আবেদনের শেষ তারিখঃ ৩১ অক্টোবর ২০১৫
ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে বাছাইকৃতদের তালিকা প্রকাশঃ ১০ নভেম্বর ২০১৫
প্রাথমিকভাবে বাছাইকৃতদের সকল কাগজপত্রের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ডাচ্-বাংলা ব্যাংক এর যে কোন শাখা অথবা মোবাইল ব্যাংকিং অফিসে উপস্থিত হওয়ার তারিখঃ ১২ থেকে ২৬ নভেম্বর ২০১৫

বৃত্তির ফলাফলঃ

বৃত্তি প্রাপ্তদের তালিকা প্রকাশ করা হলে উক্ত তালিকা এখানে প্রকাশ করা হবে।

বিদ্রঃ
  • সরাসরি / ডাকযোগে / কুরিয়ারে প্রেরিত কোন আবেদন গ্রহণযোগ্য হবেনা।
  • যে সকল ছাত্র-ছাত্রী ডাচ বাংলা শিক্ষা বৃত্তির জন্য চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হবেন, তাদেরকে অবশ্যই বর্তমান শিক্ষাবর্ষে যে কোন সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়/ কলেজে স্নাতক পর্যায়ে ভর্তি হতে হবে।

বুধবার, ৫ আগস্ট, ২০১৫

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তি পরীক্ষার সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার সম্ভাব্য আলাদা আলাদা তারিখ নির্ধারণ করেছে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যদের সংগঠন ‘বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদ’। আজ বুধবার রাতে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় ভর্তি পরীক্ষার সম্ভাব্য তারিখ ঠিক করা হয়।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে বর্তমানে ৩৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।

এ বিষয়ে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, কয়েক দিনের মধ্যেই সবগুলো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ চুড়ান্ত করা হবে। এ ছাড়াও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রস্তাবিত অষ্টম বেতন স্কেলে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের মর্যাদার ‘অবনমন’ করায় উপাচার্যরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

জানা গেছে, এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের অ্যাকাডেমিক কমিটিতে ভর্তি পরীক্ষার সম্ভাব্য তারিখ ঠিক করে তা অনুমোদনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের কাছে পাঠায়।

সম্ভাব্য ভর্তি পরীক্ষার তারিখ:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: ৯, ১০, ১৬, ১৭ ও ৩০ অক্টোবর এবং ৬ নভেম্বর
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়: ৯ থেকে ১২ নভেম্বর
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: ১ থেকে ৯ নভেম্বর
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়: ২৫ অক্টোবর থেকে ৫ নভেম্বর
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়: ঠিক হয়নি
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়: ১৫ থেকে ১৯ নভেম্বর
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস: ২৩, ২৪, ৩০ ও ৩১ অক্টোবর
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়: ৪ ও ৫ ডিসেম্বর
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়: ৯-১২ নভেম্বর
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়: ২৭ ও ২৮ নভেম্বর
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়: ৪, ৫ ও ৬ ডিসেম্বর
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়: ১১ ও ১২ ডিসেম্বর
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয: ১ অক্টোবর
প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়:-
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়: ১০ বা ১৭ অক্টোবর
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়: ৩১ অক্টোবর
রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়: ১৪ নভেম্বর
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়: ৬ নভেম্বর
বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়: ২০ অথবা ২৭ নভেম্বর
কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়:-
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (গাজীপুর): ১৪ নভেম্বর
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (ময়মনসিংহ): ৫ ডিসেম্বর
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাকা): ১৮ ডিসেম্বর
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়: ২৮ নভেম্বর
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়: ৭ নভেম্বর
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়: ১৩ নভেম্বর
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়: ৩০ নভেম্বর এবং ১ থেকে ৩ ডিসেম্বর
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়: ১৪ নভেম্বর
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়: ২০ ও ২১ নভেম্বর
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়: ঠিক হয়নি
মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়: টাঙ্গাইল ২৭ ও ২৮ নভেম্বর
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়: ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়: ২০ ও ২১ নভেম্বর

স্নাতক-স্নাতকোত্তর কলেজ থাকবে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে : প্রধানমন্ত্রী

স্নাতক বা স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করতে তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি বেসরকারি কলেজগুলোকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে আনা উচিৎ বলে মত প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নতুন চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান ও কমিশনের সদস্যরা বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে শেখ হাসিনা এই মত প্রকাশ করেন।
পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বিস্তারিত জানান।

তিনি বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৫ হাজার শিক্ষার্থীর শিক্ষাগ্রহণের বিষয়টি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী সরকারি কলেজগুলোকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় নিয়ে আসার কথা বলেছেন।... তবে বেসরকারি কলেজগুলো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনেই থাকবে।”

এতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওপর থেকে চাপ কমবে বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আগে দেশের সব ডিগ্রি কলেজ ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পরিচালিত হত। ১৯৯২ সালে সরকারি কলেজগুলো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ন্ত্রণ থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়।

গত বছরের শেষ দিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় পরিদর্শনে এসে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ২৭৯টি সরকারি কলেজকে বিভাগীয় পর্যায়ের পুরনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীভুক্ত করার নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বর্তমানে দুই হাজার ১৫৪টি কলেজে ২০ লাখ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন।
ইহসানুল করিম বলেন, ওই নির্দেশনা কার্যকর হলে ঢাকার স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের সরকারি কলেজগুলো আবারও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় আসবে।

প্রধানমন্ত্রী শিক্ষকদের কর্মদক্ষতা পর্যবেক্ষণ করার ওপরও গুরুত্ব আরোপ করেছেন বলে প্রেস সচিব জানান।
সাক্ষাতের শুরুতেই অধ্যাপক আবদুল মান্নান মঞ্জুরি কমিশনের কার্যক্রম সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন।

অধ্যাপক মান্নান এ সময় প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, তখন ছয়টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ছিল। এখন সারাদেশে পাবলিক ও বেসরকারি মিলিয়ে ১২১টি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৩০ লাখ শিক্ষার্থী রয়েছে।

শিক্ষার মানোন্নয়নে বিশ্ব ব্যাংকের সঙ্গে ২৪ কোটি ডলারের আর্থিক সহায়তা চুক্তি হওয়ার বিষয়টিও প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সচিব সুরাইয়া বেগম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

৩৫তম বিসিএস রিটেনে ভালো করার ২৫ টিপস

৩৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা শুরু হচ্ছে ১ সেপ্টেম্বর। বিসিএসে টেকা অনেকটাই নির্ভর করছে এ পরীক্ষার ওপর। ভালো করার ২৫টি টিপস, সঙ্গে বিষয়ভিত্তিক পরামর্শ দিয়েছেন ৩০তম বিসিএসে সম্মিলিত মেধাতালিকায় প্রথম সুশান্ত পাল!!!
এবার বিষয়ভিত্তিক কিছু আলোচনা করছি।

বাংলা : ব্যাকরণ, ভাবসম্প্রসারণ (প্রাসঙ্গিক ২০টি বাক্যে), সারমর্ম (২-৩টি সহজ সুন্দর বাক্যে), অনুবাদ-এই টপিকগুলোতে বেশি জোর দিন। পত্র লেখার সময় নিয়মে ভুল করবেন না। কাল্পনিক সংলাপের জন্য বিভিন্ন সাম্প্রতিক বিষয় নিয়ে ধারণা বাড়ান। গ্রন্থ সমালোচনার জন্য কমপক্ষে ৩০টি সুপরিচিত বাংলা বই দেখুন। রচনা লেখার সময় মাইন্ড-ম্যাপিং করে পয়েন্ট ঠিক করে ঘণ্টা পড়ার আগ পর্যন্ত লিখতে থাকুন।

ইংরেজি : ইংরেজিতে ভালো করার মূলমন্ত্র দুটি : এক. বানান ভুল করা যাবে না। দুই. গ্রামাটিক্যাল ভুল করা যাবে না। এই দুটি ব্যাপার মাথায় রেখে একেবারে সহজ ভাষায় লিখে যান, মার্কস আসবেই। কমপ্রিহেনশনের জন্য আইএলটিএস রিডিং পার্টের টেকনিকগুলো অনুসরণ করুন। কিছু প্রামাণ্য বই থেকে গ্রামার ও ইউসেজ প্রচুর প্র্যাকটিস করুন। সামারির জন্য ইংরেজি দৈনিকের সম্পাদকীয় আর আর্টিকেল সামারাইজ করার চেষ্টা করুন। লেটারের জন্য পত্রিকার লেটার টু দি এডিটর অংশটি দেখুন। রচনা কমন পড়বে না, এটা মাথায় রেখে সাজেশনস রেডি করে প্রস্তুতি নিন।

সাধারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
: আগের বছরের আর ডাইজেস্টের সাজেশনসের প্রশ্নগুলো প্রথমেই খুব ভালোভাবে যথেষ্ট সময় নিয়ে কয়েকবার পড়ে ফেলুন। বিজ্ঞানের প্রস্তুতি নেওয়ার সময় আপনি বিজ্ঞানের ছাত্র কিংবা ছাত্র না, এটা মাথায় রেখে প্রস্তুতি নেবেন না। এ অংশে প্রয়োজনীয় চিহ্নিত চিত্র, সংকেত, সমীকরণ দিতে পারলে আপনার খাতাটা অন্য দশজনের খাতার চেয়ে আলাদা হবে।

গাণিতিক যুক্তি
: প্রতিরাতে কিছু না কিছু ম্যাথস প্র্যাকটিস না করে ঘুমাবেন না। শর্টকাটে ম্যাথস করবেন না, প্রতিটি স্টেপ বিস্তারিতভাবে দেখাবেন। কোনো সাইডনোট, প্রাসঙ্গিক তথ্য যেন কিছুতেই বাদ না যায়। একটু বুঝেশুনে পড়লে অঙ্কে ফুল মার্কস পেতে সায়েন্সের স্টুডেন্ট হতে হয় না।

মানসিক দক্ষতা : এ অংশের প্রশ্নগুলো হবে সহজ, কিন্তু একটু ট্রিকি। মাথা ঠাণ্ডা রেখে, ভালোভাবে প্রশ্ন পড়ে, বুঝে, পূর্ণ মনোযোগের সঙ্গে উত্তর করতে হবে। ডাইজেস্টের পাশাপাশি ৩-৪টা আইকিউ টেস্টের বই সলভ করুন; সম্ভব হলে ইন্টারনেটে প্র্যাকটিস করুন। এ অংশে ফুল মার্কস পাবেন না-এটা মাথায় রেখে প্রস্তুতি নিন।

বাংলাদেশ বিষয়াবলি : কোন ধরনের প্রশ্ন আসে, সে সম্পর্কে খুব ভালোভাবে ধারণা নিন। বাংলাদেশের সংবিধানের ব্যাখ্যা, বিভিন্ন সংস্থার অফিশিয়াল ওয়েবসাইট, উইকিপিডিয়া, বাংলাপিডিয়া, ন্যাশনাল ওয়েব পোর্টাল, কিছু আন্তর্জাতিক পত্রিকা থেকে তথ্য-উপাত্ত দিন। পুরো সংবিধান মুখস্থ করার দরকারই নেই। যেসব ধারা থেকে বেশি প্রশ্ন আসে, সেগুলোর ব্যাখ্যা খুব ভালোভাবে বুঝে বুঝে পড়ুন। সংবিধান থেকে ধারাগুলো হুবহু উদ্ধৃত করতে হয় না।

আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি : টপিকগুলো গুগলে সার্চ করে করে পড়তে পারেন। উইকিপিডিয়া, বাংলাপিডিয়া, বিভিন্ন সংস্থার অফিশিয়াল ওয়েবসাইটের সাহায্য নিন। ইন্টারনেটে মোটামুটি সব প্রশ্নের উত্তরই পাবেন। এ অংশের নতুন টপিক প্রবলেম সলভিং কোয়েশ্চেনে ভালো করার জন্য যে ইস্যু কিংবা সমস্যা দেওয়া থাকবে, সেটিকে বিশ্লেষণ করে নানা দিক বিবেচনায় সেটার সমাধান কী হতে পারে, আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক ও আপনার নিজের মতামত ইত্যাদি পয়েন্ট আকারে লিখুন। ভালো করার জন্য নিয়মিত পত্রিকা পড়ার বিকল্প নেই।

প্রস্তুতি নেওয়ার সময় দুটি ব্যাপার মাথায় রাখুন :

এক. কী কী পড়বেন সেটা ঠিক করার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো কী কী পড়বেন না সেটা ঠিক করা।

দুই. মুখস্থ করার দরকার নেই, শতভাগ শিখেছি ভেবে তার ৬০ ভাগ ভুলে গিয়ে বাকিটা ঠিকমতো কাজে লাগানোই আর্ট। এ কয়েকটা দিন খুব ভালোভাবে কাজে লাগান। যে চাকরিটা অন্তত ৩০ বছর আরাম করে করবেন বলে ঠিক করেছেন, তার জন্য মাত্র ২০-২৫ দিন নাওয়া-খাওয়া বাদ দিয়ে পড়াশোনা করবেন না-এ রকম বোকা নিশ্চয়ই আপনি নন! গুড লাক!